অনেকদিন পর বিজ্ঞানপ্রযুক্তিতে লিখতে বসলাম, তাও একটা অনুবাদ পোস্ট। আপনি যদি তৃতীয় বিশ্বের কোন দেশের অধিবাসী হন, তাহলে আপনার কম্পিউটারে ইউপিএস থাকাটা অবশ্যই জরুরী। আর ইউপিএসের বিপ-বিপ আর্তনাদের সাথে তো পরিচয় আছেই। আপনি চাইলে খুব সহজেই এই ঝামেলাটি হতে মুক্তি পেতে পারেন। (আমার কাছে ঝামেলা, সবার কাছে নাও হতে পারে।) শব্দটি এতই উচ্চমাত্রার যে, আপনার পাশের বাসার মানুষ পর্যন্ত এর হাত থেকে রেহাই পাবেন না। সরাসরি স্নায়ুতে আঘাত করে এটি। বিশেষ করে গভীর রাতে যখন আপনি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন এবং ভোল্টেজের উঠানামা কিংবা বিদ্যুৎ চলে গেলে আপনি কাজ শেষ করতে করতে এটি সকলের ঘুম শেষ করে দিবে।
তবে প্রক্রিয়াটি শুরু করার আগে আপনার ওয়ারেন্টি আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন। কেননা, এরপর আপনার ওয়ারেন্টির ভ্যালিডিটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
যাহোক, কথা না বাড়িয়ে কিভাবে এ হতে মুক্তি পাওয়া যায় তার একটি সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি নিচে বর্ণনা দেয়া হল।
সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে করুন। ইউপিএস খোলার আগে অবশ্যই পূর্বসতর্কতা অবলম্বন করুন, যেহেতু এতে ব্যাটারী আছে, তাই অঘটনবশতঃ শক লেগে যেতে পারে।
১. আপনার ইউপিএস বন্ধ করুন। নিশ্চিত করুন যেন কোন এলইডি প্রজ্বলিত অবস্থায় না থাকে।
২. ইউপিএস এর সাথে সংযুক্ত পাওয়ার সুইচটি বন্ধ করে পিছনের সকল তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।
৩. কোন সমান্তরাল জায়গায় রেখে আপনার ইউপিএসটি খুলুন।
৪. স্পিকারটি খোঁজ করে বের করুন। খুব সহজেই এটি বের করে ফেলতে পারবেন। ঠিক এই ধরণের স্পিকার আপনি আপনার মাদারবোর্ডে দেখে থাকতে পারেন। ১/৩ ডায়ামিটারের একটী সিলিন্ডারের মত কালো বস্তু। ইউপিএস কন্ট্রোল বোর্ডে এটি সোল্ডারড অবস্থায় থাকে। এটি দেখতে প্রায় এরকমই:
২. ইউপিএস এর সাথে সংযুক্ত পাওয়ার সুইচটি বন্ধ করে পিছনের সকল তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।
৩. কোন সমান্তরাল জায়গায় রেখে আপনার ইউপিএসটি খুলুন।
৪. স্পিকারটি খোঁজ করে বের করুন। খুব সহজেই এটি বের করে ফেলতে পারবেন। ঠিক এই ধরণের স্পিকার আপনি আপনার মাদারবোর্ডে দেখে থাকতে পারেন। ১/৩ ডায়ামিটারের একটী সিলিন্ডারের মত কালো বস্তু। ইউপিএস কন্ট্রোল বোর্ডে এটি সোল্ডারড অবস্থায় থাকে। এটি দেখতে প্রায় এরকমই:
এখন আপনার কাছে যদি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি অর্থাৎ সোল্ডারিং আয়রন থাকে তবে আপনি এটিকে খুব সহজেই তুলে ফেলতে পারবেন। অন্যথা, আপনি কাটিং প্লায়ারস ব্যবহার করেও এটিকে কন্ট্রোল বোর্ড হতে আলাদা করতে পারেন, কিন্তু এতে ঝুঁকি বেশি হয়ে যায়।
আবারও বলছি, নিজ দায়িত্বে করুন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন