ব্রিটেনে
কেবল শুরু হয়েছে চতুর্থ জেনারেশনের মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার। তবে এরই মধ্যে
পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ শুরু করে দিয়েছে দেশটির সারে
বিশ্ববিদ্যালয়। ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালুর ক্ষেত্রে অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে
রয়েছে ব্রিটেন। আইনি লড়াই ও প্রয়োজনীয় বেতার তরঙ্গের অভাবে এই দেরি বলে জানা
গেছে। লন্ডন ও এর আশপাশের এলাকার গ্রাহকরা ফোর-জি ব্যবহার শুরু করেছেন।
তবে আর পিছিয়ে থাকতে চাইছে না ব্রিটেন। তাই ফাইভ-জি নিয়ে কাজ
করতে সারে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র চালুর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর, অবকাঠামো সুবিধা দেয় এমন
কোম্পানি ও সরকার যৌথভাবে ৪৩ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করছে। ওই অর্থ দিয়ে সারে
বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে
জানিয়েছেন অধ্যাপক রহিম তাফোজোলি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর
কমিউনিকেশনস সিস্টেমস রিসার্চ’-এর পরিচালক এবং মোবাইল ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের অধ্যাপক।
২০২০ সাল নাগাদ ফাইভ-জি চালুর লক্ষ্যে কাজ করবে গবেষণা কেন্দ্রটি। প্রতি গ্রাহক যেন
২০০ এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড পেতে পারেন সে লক্ষ্য থাকবে গবেষকদের। বেতার তরঙ্গকে
আরও ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে এ উদ্দেশ্য পূরণের চেষ্টা করা হবে বলে জানা গেছে। সারে
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অধ্যাপক তাফোজোলি বলছেন, ফাইভ-জি
তাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তারা নতুন মোবাইল প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরেই
কাজ করছেন। তিনি বলেন, ফাইভ-জি’র জন্য ব্রিটেন জুড়ে
হাজার হাজার ক্ষুদ্র সেলের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
তথ্য সূত্রঃ আইটি ডেস্ক