প্রযুক্তির খেলা ব্লগস্পট থেকে তার নিজস্ব ডোমেইনে
তাই ভিজিট করুন আমার সাইটে www.projuktirkhela.com

to stay updated on our progress.

সোমবার, নভেম্বর ১২

বিল গেটস এর জীবনী।

আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা আশা করি ভাল আছেন? ভাই ও বোনেরা আজ আমি কোন সফটওয়্যার বা ট্রিস নিয়ে আসি নাই। আসলাম একজন বিজয়ী ব্যাক্তির জীবনী নিয়ে। তার নাম উইলিয়াম হেনরী গেটস বা বিল গেটস।
                           

উইলিয়াম হেনরী গেটস বা বিল গেটস (জন্ম অক্টোবর ২৮১৯৫৫মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধান সফটওয়্যার নির্মাতা এবং সাবেকসিইও। একাধারে ১৩ বছর যাবৎ তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ১৯৯৪ সালের ১লা জানুয়ারী তারিখে মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ- কে বিয়ে করেন।

শৈশব


বিল গেটস সিয়াটল, ওয়াশিংটনে উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম উইলিয়াম হেন্‌রী গেটস সিনিয়র, যিনি একজন প্রসিদ্ধ আইনজীবী (অবসরপ্রাপ্ত)। মাতার নাম মেরি ম্যাক্সয়েল গেটস। গেটসের ক্রিস্টিয়েন নামে এক বড় বোন আর লিব্বি নামের এক ছোট বোন আছে। শৈশবে বাবা-মা তাঁকে আইনজীবী বানাতে চেয়েছিলেন।[৪] ১৩ বছর বয়সে তিনি লেকসাইড স্কুলে ভর্তি হন।[৫] এখান থেকে ১৯৭৩ সালে পাশ করেন। তিনি স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ এর মধ্যে ১৫৯০ পান[৬] এবং ১৯৭৩ এর শরতে হার্ভার্ড কলেজে ভর্তি হন।[৭]

                                         

                                        


সম্মানসূচক ডক্টরেট

  • নায়েনরোড বিজনেস ইউনিভার্সিটিট, ব্রিউকেলেন, নেদারল্যান্ড, ২০০০[৮]
  • রয়েল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, স্টকহোম, সুইডেন, ২০০২;
  • ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি, টোকিও, জাপান, ২০০৫;
  • সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি, বেইজিং, চীন, এপ্রিল ২০০৭[৯]
  • হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, জুন ২০০৭[১০]
  • ক্যারোলিন্সকা ইন্সটিটিউটেট, স্টকহোম, জানুয়ারী ২০০৮ [১১]
  • কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় জুন ২০০৯.[১২]
                        
যদিও বিলের বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে উকিল হবে। তবে তাঁর বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরনে তেমন আগ্রহী হতে দেখা গেল না। অবশ্য তেমন কোন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছিল না যে সামনে কিভাবে নিজেকে যোগ্য করবেন। তবে তাঁর মন ঐ কম্পিউটারের পিছনেই পড়ে থাকত। শেষে তিনি স্কুলের সেই বন্ধু পল এল্যান আসতে বললেন হাভার্ডে। মূলত বন্ধুর ডাকেই সাড়া দিয়ে হাভার্ডে যোগ দিলেন পল।
এর মাঝে MITS (Micro instrumentation and telemetry system ) তাঁদের MITS Altair 8800 বের করে। এটি একটি মাইক্রোকম্পিউটার বিশেষ। MITS Altair 8800 বের হওয়ার পর গেটস MITS এর সাথে যোগাযোগ করলেন। তিনি তাঁদের জানান যে তাঁদের Altair 8800 তে তিনি নতুন কিছু প্রোগ্রাম যুক্ত করতে চান। MITS এর প্রেসিডেন্ট বেশ আগ্রহ দেখালেন। তিনি বিলের কাছে Demo চেয়ে বসলেন। বিল BASIC নামে একটি demo তৈরি করেন। MITS তাঁদের কম্পিউটারে Demo ব্যাবহার করে বিস্ময়কর ফলাফল পায়। পরে এই প্রোগ্রাম নিয়ে পরবর্তীতে MITS তাঁদের নতুন এডিশন ছাড়ে।
এর পরে পল MITS এ চলে যান। পলকে সাহায্য করার জন্য হাভার্ড থেকে ছুটি নেন তিনি।
মাইক্রোসফটের সূচনাঃ তিনি পলের সাথে পার্টনারশীপে একটি অফিস খুলেন। নিউ মেক্সিকোর ‘’Albuquerque’ নামে এক এলাকায় প্রথম অফিস খুলেন। ১৯৭৬ সালের ২৬ নভেম্বরে মেক্সিকোর বানিজ্য সচিবের অনুমতিক্রমে MITS এর আওতায় একটি প্রতিষ্ঠান খুলেন। এটই ছিল Microsoft এর প্রথম অফিস।
পরে ১৯৭৭ সালে MITS থেকে Microsoft সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠান সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট এর উপর কাজ করতে থাকে। বিল ভাবলেন তাঁর প্রতিষ্ঠাঙ্কে তাঁর নিজ দেশে নিয়ে যেতে হবে। তিনি নিউ মেক্সিকো থেকে Microsoft কে ওয়াশিংটন শহরের Bellevue শহরে নিয়ে আসেন। এখানে এসে কোম্পানীর জন্য লোন খুজতে শুরু করলেন। নতুন কোম্পানী বলে কেউই লোন দিতে রাজি নয়। অনেক চেষ্টা করে কাছের এক ব্যাঙ্ক থেকে লোন পান তিনি।


১৯৮০ সালে IBM একক ব্যবহারের জন্য একটি কম্পিউটার তৈরির সিধান্ত নেয়। Acron ছদ্মনামে একটি গোপন প্রজেক্ট শুরু করে। এই কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম তৈরির জন্য Microsoft কে নিয়োগ দেয়া হয়। এরপরে Pc-dos নামক একটি অপারেটিং সিস্টেম IBM কে দেয়া হয়। IBM এটি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে একটা বিষয় হল যে PC-dos অপারেটিং সিস্টেমটি কিন্তু সম্পূর্ণভাবে Microsoft দ্বারা তৈরি না। বিল গেইটস ওয়াশিংটন শহরের সিয়াটল শহরের ছোট্ট একটি হার্ডওয়ার দোকান থেকে QD-DOS(Quick and dirty dos) নামে একটি অপারেটিং সিস্টেম কিনে নেন। এটিকেই IBM এর মাইক্রোপ্রোসেসর অনুযায়ী পরিবর্তন করে Pc-dos করা হয়।

চিত্রঃ এখনকার অফিস।
                        
১৯৮৫ সালে বিল গেটসের স্বপ্ন পূরনের বছর। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন নিজেদের তৈরি একটা অপারেটিং সিস্টেম তিনি বাজারে ছাড়বেন। ২০ নভেম্বর Microsoft প্রকাশ করলো তাঁদের প্রথম অপারেটিং সিস্টেম Windows 1.0.
১৯৯২ সালের দিকে তিনি IBM এর আওতা থেকে মুক্ত হলেন। অর্থাৎ তিনি সম্পুর্ন আলাদাভাবে Microsoft Windows এর এডিশনগুলো ছাড়তে লাগলেন। Microsoft এর বাজার সমৃদ্ধ্য হতে লাগল। আস্তে আস্তে Microsoft বাজারে বেশ ভাল ভাবে আসন নিইয়ে নিল।

একের পর এক Microsoft এর নতুন নতুন আবিষ্কার বাজারে আসল। আর ব্যাপকভাবে সাড়া পেল Microsoft.
  • ১৯৯০তে Windows 3.0
  • ১৯৯৫তে Windows 95
  • ১৯৯৮ তে Windows 98
  • ১৯৯৯ তে Windows 2000, Office 2000, ও Windows ME
  • ২০০০ তে Microsoft C# ভাষা ও Microsft.net এর উদ্ভব।
  • ২০০১ তে Windows Xp প্রচলন
  • ২০০৫ তে Windows Xp Media Centre 2005 এবং Xbox 360 প্রচলন।
  • ২০০৬ তে Windows Vista এর প্রচলন
  • ২০০৭ তে Microsoft word 2007 এর প্রচলন।
  • ২০০৮ তে Microsoft Windows server 2008 এর সূচনা
  • ২০০৯ তে Windows 7 এর সূচনা



পুরস্কার

ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ১৯৯২
ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন (পূর্বের ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি) হলো আমেরিকার রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সম্মান যেটি আমেরিকান আবিষ্কারক ও উদ্ভাবকদের প্রদান করা হয় প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য। এই পুরস্কারটি এক বা একাধিক ব্যক্তিকে কিংবা কোনো সংস্থাকে প্রদান করা হতে পারে।
                                                 
1992Bill Gates"For his early vision of universal computing at home and in the office…"

ব্যাক্তিগত জীবন

ব্যাক্তিগত জীবন বলতে স্ত্রী মেলিন্ডা ও তিন সন্তান। ২ মেয়ে Jennifer Katharine ও Phoebe Adele এবং একমাত্র ছেলে Rory John।. এত অর্থ সম্পদের মালিক বিল গেটসের জীবন খুব সাধাসাধি ভাবে কাটাতে ভালবাসেন। ওয়াশিংটনের মেডিনার লেকে পর্বত মুখি ছিমছাম বাড়ি তাঁর। এই বাড়ির নাম ‘The Gates Home’

তার ঘরের ভিতর।
চিত্রঃ উপরে বিল গেটসের বাড়ী।


৬৬০০০ বর্গফুটের এই বাড়িতে ৬০ ফুট গভীর সুইমিংপুল। সুইমিনপুলের সাথে ওয়াটার মিউজিক সিস্টেম। আরো আছে ২৫০০ ফুটের ব্যামাগার এবং ১০০০ ফুটের ডাইনিং স্পেস। বিশাল ব্যাপার!
এত সফল ব্যাক্তিত্য তিনি। এছাড়া তিনি একজন লেখকও বটে। অনেক পত্রিকায় তিনি গবেষনামূলক লেখা লিখেছেন। ১৯৯৯ সালে মাইক্রোসফটের Nathan Myhrvold  এবং সাংবাদিক Peter Rinearson  এর সাথে যৌথভাবে লেখা বই The road ahed. ১৯৯৯ সালে প্রযুক্তিগত বই Business @ the speed of thought  প্রকাশিত হয়।
তাকে নিয়ে বেশ কিছু ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি হয়ে ছে। উল্লেখযোগ্য হল Waiting for superman         এবং BBC  এর The virtual Revolution
সাফল্য বাক্তিত্যদের নিয়ে সংক্ষেপে লেখা সহজ কথা নয়। কিন্তু বিল গেটস! অল্প এই ছোট্ট ভাবে তাঁর সাফল্যমন্ডিত জীবনের ব্যাখ্যা অতি অসম্ভব সাফল্য যেখানে তাঁর পায়ে পায়ে।
তবুও খুব অল্প এবং ছোটভাবে তাঁর সাফল্যগাথা জীবনের বর্ননা করলাম। তাঁর প্রযুক্তিতে যেই অবদান খুব কম মানুষের দ্বারা সম্ভব।
ফেসবুক থেকে সরাসরি আপডেট পেতেঃ লাইক দিন
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
জনপ্রিয় পোস্ট সমূহ

আমার সম্পর্কে

Search (Don't Edit)

ব্লগ লাইব্রেরী

বিভাগ

ইমেল দিয়ে পোস্ট এর আপডেট পেতে

Subscribe করুন

সম্প্রতিক মত্নব্য

Review projuktirkhela.blogspot.com on alexa.com